কোটিপতি দুই ভাইসহ শ্রীলঙ্কার ৯ আত্মঘাতীর পরিচয় প্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট – ইস্টার সানডের দিনে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় কোটিপতি দুই ভাইসহ ৯ আত্মঘাতীর নাম প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কা। হামলার ১০ দিনের মাথায় বুধবার দেশটির পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা তাদের নাম প্রকাশ করেন। এছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় হামলাকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও জানান তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ান।ইস্টার সানডের উৎসবের দিন রাজধানী কলম্বো ও এর আশপাশের চারটি হোটেল ও তিনটি গির্জাসহ মোট আটটি স্থানে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় দেশী বিদেশী মিলিয়ে ২৫০ জনের বেশি নিহত হন।পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা জানান, সিরিজ বোমা হামলায় জড়িতদের মধ্যে ছিলেন শ্রীলঙ্কার এক ধনকুব পরিবারের দুই ভাই। তারা দুইটি বিলাসবহুল হোটেলে বোমা হামলা চালায়। পরিবারটি কলম্বোর মশলা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করে।এই পুলিশ কর্মকর্তার দেয়া তথ্য মতে, হামলার প্রতিটি স্থানে একজন করে আত্মঘাতী পাঠালেও ব্যতিক্রম ছিল শুধু শাংগ্রি লা হোটেল। হোটেলটিতে দুইজন আত্মঘাতী হামলা করে। দুই হামলাকারীর একজন হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আইএস সংশ্লিষ্ট জাহরান হাশিম। হাশিম নিষিদ্ধ ঘোষিত ন্যাশনাল তাওহিদ জামাতের (এনটিজে) নেতা। শাংগ্রি লা হোটেলে হামলায় হাশিমের সহযোগী ছিল ইসলামপন্থী ইলহাম আহমেদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। ইলহাম আহমেদ সিনামন গ্রান্ড হোটেলের আত্মঘাতী হামলাকারী ইনসাফ আহমেদের বড় ভাই। হামলার কয়েকদিন পর পুলিশ অভিযানে গেলে ইলহামের স্ত্রী তার ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় তারা তিনজনসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।

তৃতীয় হোটেল কিংসবারিতে হামলাকারীর নাম মোহাম্মদ আজম মুবারাক মোহাম্মদ। বর্তমানে তার স্ত্রী পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। সেন্ট অ্যান্থনি গির্জায় হামলা করে কলম্বোর স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ মুয়াজ নামের একজন। পুলিশ তার ভাইকে গ্রেফতার করেছে। সেন্ট সেবাস্তিয়ান গির্জার আত্মঘাতী মোহাম্মদ হাসথুন হশিমের অঞ্চল দ্বীপটির পূর্ব দিকের বাসিন্দা বলে জানান গুনাসেকেরা।আর বাটিকালো জেলার দ্যা খ্রিস্টান জিওন গির্জায় হামলা করে স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ নাসের মোহাম্মদ আসাদ। রাজধানীর আরো একটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বোমাটি অতিথি কক্ষের কাছে বিষ্ফোরিত হয়। সেখানে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পড়াশোনা করে আসা আব্দুল লতিফ নামের একজন হামলা করে।এসব হামলাকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য সরকার এখন সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন বন্ধ আইনটি কার্যকর করতে যাচ্ছে বলে জানান পুলিশ মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা।